প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা একটি চ্যালেঞ্জ। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে গ্রিড সম্প্রসারণ করা ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য হওয়ায় সেসকল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার ২০০৭ সালে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করে, যেখানে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে মিনিগ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ত্ব দেয়া হয়। দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যে সরকার ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা,২০০৮’-তেও নানাবিধ প্রণোদনা প্রদান করে। এছাড়া ‘সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা-২০১৩’-তে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে মিনিগ্রিড প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্যিক মডেলকে গুরুত্ত্ব দেয়া হয়। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) এর বাণিজ্যিক মডেলে প্রকল্প ভিত্তিক ৫০% গ্রান্ট, ৩০% সফট লোন এবং ২০% ইকুইটি রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
সারাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭ টি সোলার মিনিগ্রিড স্থাপন করা হয়েছে যার সম্মিলিত ক্ষমতা ৫.৬৫৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ২৬ টি মিনিগ্রিড ইডকলের বাণিজ্যিক মডেল অনুসরণে ইডকলের অর্থায়নে স্থাপন করা হয়েছে। ইডকলের অর্থায়নে স্থাপিত ২৬ টি মিনিগ্রিডের মধ্যে ১৯টি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) এলাকায়, ০৩টি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) এলাকায়, ০৩টি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এলাকায় এবং ০১টি নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) এলাকায় অবস্থিত। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সুনামগঞ্জের শাল্লাতে বিউবো কর্তৃক ৬৫০ কিলোওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সোলার মিনিগ্রিড স্থাপন করা হয়েছে, যেটি দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ সোলার মিনিগ্রিড।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সকল বিতরণ ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের এলাকায় দ্রুত বিদ্যুতায়ন করে যাচ্ছে। ফলে মিনিগ্রিডের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে যেখানে শীঘ্রই গ্রিড লাইন নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না, সেসকল এলাকাতেও গ্রিড লাইন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অধিকন্তু সবার জন্য একই মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতকরণে সরকার সোলার মিনিগ্রিডসমুহে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিতরন সংস্থার মাধ্যমে ক্রয় করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে গ্রাহকের নিকট বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা কর্তৃক সোলার মিনিগ্রীডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক ট্যারিফ নির্ধারণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্রেডা কাজ করছে।
সোলার মিনি গ্ৰিড, মাইক্রোগ্রিড, ন্যানোগ্রিড এবং পিকোগ্রিড এর ডেফিনেশন নিম্নোরূপ: